রসুন লতা (Mansoa Alliacea) টবে বা মাটিতে পরিচর্যা

বাড়িতে বিশেষ যত্ন ছাড়ায় গাছ ভর্তি প্রচুর ফুল পেতে আপনি গার্লিক ভাইন বা রসুন লতা গাছটি বসাতে পারেন। এটি একটি লতানো গাছ, আসলে এটি ট্রপিক্যাল এলাকাতে ভালো হয়। গাছ টি লম্বাই ৩০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। গাছের কান্ড লোমযুক্ত, ছাল ধুসরবর্ণ, কাঠ পীতাভ ধুসরবর্ণ এবং পাতা ১২ থেকে ১৮ ইন্চি লম্বা হয়। গাছটিতে বসন্তের শুরুতে বড় বড় থোকায় হালকা-বেগুনী বর্ণের ফুল ফোটে,ফুলের পাপড়ি ৫ টি, পুষ্পাধার ঘন্টার মত।  গছিটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায়  উত্তর দক্ষিণ আমেরিকা ও এবং মধ্য আমেরিকা ও ব্রাজিলে। এই গাছের পাতা এবং পাপড়ি হাতে ঘসলে রসুনের মত গন্ধ বের হয় যার জন্য গাছটির নাম রসুন লতা। কলমে মাধ্যমে ও শিকড় থেকে সহজে চারাগাছ তৈরী করা মায়।



আঞ্চলিক নাম: রসুন লতা বা গার্লিক ভাইন
বৈঙ্গানিক নাম :Mansoa alliacea 
ইংরেজি নাম : Garlic Vine 

একে পারুল লতা নামেও ডাকা হয়। আমাদের দেশে বাগানের মাচাতে গাছ তুলে দেওয়া হয়, লতানো কারনের জন্য । পারুল লতা ফুল যাই হোক এখনো দেখা নেই আসল পারুলের! বাংলাদেশে স্থানিয় নাম কামসোনালু, ভাতসিল প্রভৃতি এছাড়াও অন্যান্য স্থানে পারুল লতা, কামসোনালু, ভাতসিল, Garlic Vine,রসুন লতা নামে পরিচিত। 

টব নির্বাচন ও মাটি প্রস্তুত:

গাছটি টবের তুলনায় মাটিতে খুব ভালো হয় এবং বড় হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের প্রয়োজন হয়। তাই এই গাছটি প্রতিস্থাপনের পূর্বে মাটিতে বেশি পরিমানে জৈব সার, হাঁড় গুড়ো, শিং কুঁচি এবং পরিমাণ মতো নিম খোল দ্বারা মাটি প্রস্তুত করে গাছটি প্রতিস্থাপন করতে হবে । টবে প্রতিস্থাপন করলে মাটির ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করতে হবে কোকোপিট অথবা কাঠের গুঁড়ো এবং এর সঙ্গে নিতে হবে একভাগ লাল বাল।টবে প্রতিস্থাপন করলে ১০  ইঞ্চি অথবা ১২ ইঞ্চি টব নির্বাচন করতে হবে।

স্থান নির্বাচন:

গাছটিকে মোটামুটি দিনে ৪ থেকে ৬ ঘটা রৌদ পাই তেমন নির্বাচন করা উচিত, এতে গাছের বাড়বাড়ন্ত ভালো হয় এবং রোগে আক্রান্ত কম হয়। গাছ টবে বসানোর ৭-৮ মাস পরেই ফুল আসা শুরু হয়।

সার প্রয়োগ:

গাছে ২০ দিন অন্তর অন্তর সরষের খোল পচা জল এবং সাথে DAP দিয়ে যেতে হবে। এই গাছটিতে february  মাস থেকে ফুল ফোঁটা শুরু হয়, তবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কোন রকম ফুল হয় না। তাই এই সময়টা গাছকে কোন রকম খাবার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। january মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিমাসে অন্তত দুবার করে গাছে খাবার দিতে হবে। এছাড়াও বছরে দু থেকে তিনবার পরিমানে জৈব সার, হাঁড় গুড়ো, শিং কুঁচি এবং পরিমাণ মতো নিম খোল গাছের গোড়ায় দিতে হবে। অন্যান্য গাছেরমতো এই গাছেও মাসে দুবার করে নিম তেল স্প্রে  করতে হবে। এতে পোকামাকড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।


Post a Comment

0 Comments