বর্তমানে কৃষিতে বিশেষ করে ছাদ কৃষিতে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় জৈব সারের নাম হাড়ের গুঁড়ো,এটি যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি উপকারী| আমরা ছাদ বাগানে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। গাছের প্রয়োজনীয় NPK গাছ নিজেরাই জোগাড় করে নেয় এবং আমরা সকলেই কম বেশি জানি নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশ এর উৎস | আজকে আমরা জানবো ফসফরাসের প্রাকৃতিক উৎস কিসে কিসে আছে |
পশুর হাড় গুঁড়ো করার পর সিদ্ধ করে তৈরী করা হয় হাড়ের গুঁড়ো এবং এটি গুড়ো করে ফেলাতে গাছের পুষ্টি ধীরে ধীরে মাটিতে কাজ করে এবং দ্রুত ফসলের পরিবর্তে গাছগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের গাছকে দীর্ঘদিন সরবরাহ করে। কিছু রাসায়নিক সারের থেকে ভিন্ন, আপনি খুব বেশি প্রয়োগ করলে হাড়ের গুড়া গাছগুলিকে পোড়াবে না। গাছের জন্য হাড়ের গুঁড়োর মূল উপাদান হচ্ছে ফসফরাস যেটা গাছের ফুল বা ফলকে বরো হতে সাহায্য করে। ফসফরাস কার্যকরভাবে গাছের বৃদ্ধি এবং সালোকসংশ্লেষণে সহায়তা করে। ক্যালসিয়াম স্বাস্থ্যকর কোষ গঠনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় এবং গাছপালা গুলিকে অন্যান্য উপাদান বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফসফরাস সমৃদ্ধ (14-16% পর্যন্ত) এবং কিছুটা পরিমান নাইট্রোজেন রয়েছে।
হাড়ের গুড়োর কার্যকরিতা:
1. মাটিতে ফসফরাসের পরিমান বৃদ্ধি করে এবং গাছে ফসফরাসের ঘাটতি জনিত সমস্যা দুর করে।
2. গাছের ফুল ও ফল ঝড়ে পড়া রোধ করে।
3. গাছের শিকড় বৃদ্ধি করে।
4. গাছের কান্ড ও পাতার রং গাড় সবুজ করে।
5. ফলন বৃদ্ধি করে।
6. কুশির সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
7. পাতা ও ফলের আকার বড় করে।
হাঁড়ের গুড়া ব্যাবহারের নিয়ম:
1. ৬ ইন্ঞি টবের মাটিতে অধা মুঠো
2. ১২ ইন্ঞি টবের মাটিতে মাটিতে এক মুঠো
3. গাছের গোড়ার মাটি এক থেকে দেড় ইঞ্চি খোঁড়ার পর টবের সাইড দিয়ে পরিমাণ মত হাড় গুড়ো ছিটিয়ে দিতে হবে তারপর কোন কিছুর দ্বারা হারগুলো এবং মাটি মিশিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল গাছের উপর প্রয়োগ করতে হবে
0 Comments