সারা বছর ধরে জবা গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন

 

সারা বছর ধরে জবা গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন | How to care Hibiscus plant in bengali

জবা আমাদের পরিচত একটি ফুল। সঠিক যত্ন এবং পরিচর্যা করলে জবা ফুলের সৌন্দর্য গোলাপ ফুলকে-ও হার মানায়। জবা গাছের ইংরেজি নাম Hibiscus এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারলাস লিনেয়াস (Carolus Linnaeus) সারা বছর ধরে জবা গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন | How to care Hibiscus plant in bengali ।

রূপে রঙে অপূর্ব সৌন্দর্য ফুলগুলি সবারই মন কেড়ে নেয়। প্রায় প্রত্যেক ফুল প্রেমী কখনও না কখনও এই গাছ বসিযে থাকবেন। জবা ফুল গাছে প্রায় সারা বছরই ফুল ফুটতে দেখা যায় তবে গরমের মৌসুমে গাছ ভর্তি ফুল ফোটে। জবা একটি গরমের ফুলএবং প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই এই ফুলগাছ বসানো হয়ে থাকে পূজার ফুল হিসাবে ব্যবহৃত করার জন্য । বিগত দিনগুলোতে আমরা সাধারণত কিছু চিরাচরিত জবা ফুল দেখে এসেছি| বর্তমানে কৃষি বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে অনেক ধরনের জবা ফুল গাছ আমরা দেখতে পায় তার মধ্যে ভারতবর্ষের পুনে জবা ফুল এবং ব্যাঙ্গালোর জবা গুলি খুবই আকর্ষণীয় যা আমরা বিভিন্ন নার্সারি তে দেখতে পাই এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান জবা , ক্রান্তীয় জবা ( Tropical Hibiscus ) আর সাথে আমাদের দেশী জবার বৈচিত্রও কম নয়। 

➧  বৈজ্ঞানিক নাম  - Hibiscus rosa-sinensis

➧  পরিবার  -  Malvaceae

➧  শ্রেণী  -    Eudicots

➧  মহাজাতি -  Hibiscus

➧  উপজাতি -  Hibisceae

জবা গাছ গ্রীষ্মমণ্ডল এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলিয় অঞ্চলে খুব ভালো ভাবে বেড়ে ওঠে। কেননা জবা ১০ ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। তবে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে কেউ কেউ জবা গাছকে গ্রীনহাউসের মধ্যে রাখে। নানা দেশে ও অঞ্চলে একে বিভিন্ন নাম ডাকা হয়। যেমন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে জবা , হিন্দিতে গুরহল ও জবাকুসুম,  হাইতি তে রোস কায়েন  ( rose kayenn),মালয়েশিয়াতে বুঙ্গা রায়া ( Bunga Raya ),  ফিলিপিন্সে গুমামেলা ( Gumamela ) এছাড়া  একে চায়না রোস ( China rose ), হাওয়াইয়ান হিবিসকাস ( Hawaiian hibiscus ), রোস মালো ( Rose mallow ) নামেও ডাকা হয়ে থাকে।



সারা পৃথিবীতে এর প্রায় ৬৫০ বেশি প্রজাতির জবা দেখতে পাওয়া যায়। আমরা জবা হিসাবে যে যে গাছ গুলি নার্সারি থেকে কিনে এনে লাগাই তার অধিকাংশই গ্রাফটিং ( Grafting ) টিসু কালচার ( Tissue culture ) এবং দুই প্রজাতির ফুলের পরাগ রেনু একে অপরের সাথে মিলিত করে নতুন প্রজাতি ও নতুন রঙের জবা গাছ তৈরী করা হয়ে থাকে। যেগুলিকে আমরা সাধারণত ব্যাঙ্গালোর জবা, পুনে ভ্যারাইটি, অস্ট্রেলিয়ান, বা হাইব্রিড জবা নামে চিনি ।

সারা বছর ধরে জবা ( হাইব্রিড জবা ফুল ) গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন


ক) চারা গাছ নির্বাচন
গাছ কেনার সময় সুস্থ সবল গাছ নির্বাচন করতে হবে
1) বেশি বড়ো গাছ নেবেন না। নার্সারি তে যে সমস্ত গাছ অনেকদিন থাকে এবং বড়ো হয় তা শুধুই রাসায়নিক সারের দৌলতে। প্যাকেটের গাছগুলিতে যে ছিদ্র থাকে সেই ছিদ্র দিয়ে শিকল শিকড় বেরিয়েছে এমন গাছ-ই নির্বাচন করবেন

2) বাকেট আছে এমন গাছ যতটা পারবেন এভোয়েড করবেন। বাকেট থাকলে সেই বাড়িতে গাছ আনার পর বাকেট ছাড়িয়ে শেকড়ে ফাঙ্গিসাইড লাগিয়ে গাছ বসবেন।

3) রোগমুক্ত গাছ নির্বাচন করবেন কখনোই রোগ আছে এমন গাছ নেবেন না। পাতা কোঁকড়ানো পাতার পাশে পোড়া বা পঁচা বা শুকনো এই ধরণের গাছ থেকে দূরে থাকবেন রোগগ্রস্ত গাছ আনলে টা বাড়ির অন্য গাছেদের মধ্যে ছড়াবে। 

4) গ্রাফটিং করা গাছ বা জোর কলম করা গাছ কিনলে একটু দেখে নেবেন যে গাছের দুটো ডাল ঠিক মতো জোড়া লেগেছে কি না। গ্রাফটিং এর জায়গায় প্লাস্টিক টেপ বাঁধা থাকলে তা গাছ বসানোর 15 দিন পর বাঁধনের গিট টা কেটে টেপ খুলে দেবেন।

5) ডালের গাছ হলে একদম গোড়া থেকে দুটো ডাল বেরিয়েছে এমন গাছ নেবেন না। একটাই ডাল থাকবে ওপর থেকে শাখা প্রশাখা ছেড়েছে এমন গাছ নেবেন। দুটো ডাল থাকলে পরিবর্তিতে দুটো ডাল থেকে শেকড় ছেড়ে দুটো গাছ হয়ে যাবে এবং গাছেদের বৃদ্ধি কমে যাবে।


খ) টবে জবা গাছ বসালে কিভাবে মাটি প্রস্তুত করবেন
প্রথমে মাটি তৈরী 
৫০ % উর্বর দোআঁশ মাটি   
৪০ % এক বছরের পুরনো গোবর সার / এক বছরের পুরনো পাতা পচা সার / ভার্মিকম্পোস্ট              • ১০ % নদীর বালি  
১০০ গ্রাম হাড় গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম সিং কুচি, এক চামচ নিম খোল 10 ইঞ্চি প্রতি টবের জন্য


এই সবগুলি ভালো করে মিশিয়ে নিন--এবার আপনার মাটি তৈরী।
জবা গাছ বসানোর জন্য কম করে ১০ ইঞ্চির টব ব্যবহার করা উচিত। গাছ এক দেড় বছর পুরানো হয়ে গেলে তখন ১২ বা ১৫ অথবা আরো বড় কোনো জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে পারেন। যেকোনো গাছ বসানোর জন্য সবসময় মাটির টব ব্যবহার করবেন ।প্রথমে টবটিকে নিন। টবের নিচে যে ফুটো আছে তার ওপরে একটি খোলামকুচি রেখে তার ওপর কিছুটা বালি অথবা শুকনো পাতা দিয়ে ভর্তি করে দেবেন তারপরে মাটি দিতে হবে। এতে কি হয় অত্যাধিক জল সহজেই বেরিয়ে যায় আর আপনার গাছের সুসাস্থ্য বজায় থাকে। এবার জবা গাছের চারা লাগিয়ে দিযে অল্প জল দিয়ে দিন। এবার টব টিকে একটি ছায়াযুক্ত স্থানে পাঁচ থেকে ছয় দিনের জন্য রেখে দিন।প্রত্যেক বছরে বর্ষার পর পর প্রতিটি টবের শোঁকড় কাটাই ছাঁটাই এবং মাটি পরিবর্তন করতে হবে। জবা গাছের কাটিং থেকে চারা করার সময় মার্চ থেকে অক্টবর।

গ) হাইব্রিড জবা ফুল দেখাশোনা 

শীতকালে জবা গাছের পরিচর্যা করতে টবের গাছগুলিকে সম্পূর্ণ সূর্যের আলোতে রাখতে হবে এবং গরমকালে টপ গুলিতে সকালের সূর্যের আলো পায় এবং বিকালে সূর্যের আলো পায় এমন স্থানে রাখবেন দুপুরের রোদ যেন সরাসরি না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন | জবা গাছে খুব বেশি জল কখনই দেবেন না। বেশি জল হয়ে গেলে এর শিকড় পচে গিয়ে পুরো গাছটিই মারা যায় বিশেষ করে হাইব্রিড জবা গুলি। তবে যখন গাছে অনেক ফুল ধরে থাকে তখন একটু বেশি জলের প্রয়োজন হয়।বর্ষাকালে একটু খেয়াল রাখবেন খুব বেশি বৃষ্টির সময় টব টিকে গাছসুদ্ধু কাত করেও রেখে দিতে পারেন। কিছুদিন পর পর টবের মাটি একটু খুঁড়ে দেবেন। তাতে কি হয় মাটি ফাঁপা থাকলে গাছ সুস্থ থাকে তবে বর্ষাকালের টবের গাছগুলোতে ১০ থেকে ১২ দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে

১০-১৫ দিন অন্তর সরিষার খোল ২-৩ দিন জলে পচিয়ে তার ঘোল টুকু দিয়ে দেবেন ।

ঘ) গাছের খাবার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
জবা গাছ খোলা পঁচানো জল ও ভাতের ফেন খুব পছন্দ করে 10 লিটার জলে 100 গ্রাম খোল 4-5 দিন পঁচাবেন 4 দিনের দিন ওর সাথে আরো 5 কফি কাপ ভাতের ফেন মিশিয়ে দেবেন।ওই মিশ্রণ টা গুলিয়ে নিয়ে এক কফি কাপের মাপে টবের মাটিতে দেবেন, মাসে দুই বার। NPK 10:26:26 হাফ চামচ বা 30 দানা দেবেন মাসে একবার এতে গাছের ফুল ও হবে এবং গাছের কান্ড পাতার বিকাশ ও সমপরিমানে হবে আর পটাসিয়াম নাইট্রেট ( 13:00:45) হাফ চামচ পরের মাসে একবার এতে গাছের রোগবালাই থেকে নিজেকে বাঁচানোর ক্ষমতা বাড়বে তার দরুন কুঁড়ি ঝরা রোধ হবে।প্রত্যেক তিন মাস অন্তর এক চামচ গুঁড়ো অনুখাদ্য এক চামচ হাড়গুড়ো এক চামচ সিংকুচি মানে প্রথমে খোলা পঁচানো জল তার 10 দিন পর NPK 10:26:26 তার 10 দিন পর আবার খোলা পঁচানো জল তার 10 দিন পর পটাসিয়াম নাইট্রেট ( 13:00:45) তার 10 দিন পর খোলা পঁচানো জল।

ঙ) গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও  কুঁড়ি ঝরা রোধ করতে 


গাছের পাতায় 15 দিন অন্তর Epsome Salt ( মেগ্নেসিয়ান সালফেট MgSo4) এক লিটার জলে এক চামচ মিশিয়ে স্প্রে করবেন। এটি ওষুধের দোকানে যেখানে পশু পাখির ওষুধ বিক্রি হয় ওখানে পাবেন। মাসে একবার 10 লিটার জলে এক চামচ গুলে বা খোল জলের সাথে এক চামচ গুলে টবের মাটিতে দেবেন।
Epsome Salt স্প্রে করার 7 দিন পর সকালে রোদ ওঠার আগে PGR ( প্লান্ট গ্রোথ রেগুলেটর ) স্প্রে করতে পারেন এটি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামে পাওয়া যায় যেমন ...

1) Miraculan ট্রাইকোনটোনাল বেসড একটি গ্রোথ রেগুলেটর যা গাছের খাবার সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ায়। গাছের আকারে বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে গাছ সুস্থ থাকার দরুন কুঁড়ি ঝরা রোধ হয়। এটা এক লিটার জলে এক মিলি গুলে 15 দিন অন্তর সকালে রোদ ওঠার আগে স্প্রে করতে পারেন।

2) Planofix Alpha napthyl acetic অ্যাসিড বেসড গ্রোথ রেগুলেটর এটা গাছের কুঁড়ি ঝরা কমায় ফুলের পরিমান ও আকারে বাড়াতে সাহাজ্য করে। এটা এক লিটার জলে 3 ড্রপ মিশিয়ে 15 দিন অন্তর সকালে রোদ ওঠার আগে স্প্রে করতে পারেন। মনে রাখবেন গাছ যদি সুস্থ বা মাটিতে যদি পর্যাপ্ত খাবার না থাকে PGR স্প্রে করলে লাভের তুলনায় ক্ষতি বেশী হবে।

3)DAP এক লিটার জলে এক চামচ গুলে মাসে একবার বিকেলে স্প্রে করতে পারেন। গাছ অতিরিক্ত খাবার পাওয়ার দরুন কুঁড়ি পড়া রোধ হয় ফুল সংখ্যায় বাড়ে ও আকারেও বড়ো হয়।

চ) রোগ ও তার প্রতিকার 
জবার মূলতঃ নিম্নলিখিত রোগগুলিই হয়ে থাকে যেমন --

মাটিতে কোনো পোকা দেখলে বা পিঁপড়ে দেখলে দানা বিষ ( Furadon Insecticide ) দিতে পারেন। হাফ চামচ মাটির ওপরে ছড়িয়ে জল দিয়ে দেবেন। Dursban Insecticide ব্যক্তিগতভাবে আমি এটিকে ব্যবহার করে থাকি |

Spider mites -- এটা এক ধরণের ক্ষুদ্র পোকা যে সাধারণত পাতার নিচে থাকে। জবা ডালের ডগায় ছোট ছোট জাল তৈরি করে । এদের আক্রমণ হলে পাতা হলদে হয়ে যায় ও কুঁকড়ে যায়।
প্রতিকার -- Rolex, Oberon, Xmite  এর মধ্যে যেকোনো একটির ১/২ ml ১ লিটার ঠান্ডা জলে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে স্প্রে করবেন । এটি ১০/১২ দিন অন্তর চালিয়ে যেতে হবে যতদিন না পুরোপুরি প্রতিকার হচ্ছে।

Mealybugs -- এটি হল সব থেকে ভয়ানক রোগ, এরা গাছের সমস্ত রস শুষে নিতে থাকে। সাদা রঙের এই পোকাটি সম্পূর্ণ গাছটিকেই নষ্ট করে দিতে পারে যদি শুরুতেই এর প্রতিকার না করেন।
প্রতিকার -- Dxtar ১ গ্রাম ৫ লিটার জলে , Acephate ১ গ্রাম ১ লিটারে জলে,Admire ১ গ্রাম ৫ লিটার জলে ভালো করে গুলে নিয়ে স্প্রে করবেন । এটিও ৫/৭ দিন ছাড়া দিতে পারেন।


সারা বছর ধরে জবা গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন | How to care Hibiscus plant in bengali
জবা গাছের পরিচর্যা


মিলিবাগ দমনের 100% শক্তিশালী ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি

1. নীম পাতা  আধা কেজি  সাথে  রসুন ৮  কোয়া  তা জুড়ি ঝুড়ি কেটে নিতে হবে,  দেড় লিটার জল নিতে হবে  , একসাথে  তা টগবগ করে ফুটাতে হবে, ফুটানো হয়ে গেলে, ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিতে হবে, ঠান্ডা হয়ে     গেলে সেই নিম পাতা ও রসুনের জাল দেওয়া জল গাছে স্প্রে  করতে হবে, এভাবে গাছে স্প্রে করতে হবে তিন দিন পর পর, যে নীম পাতা জাল দেওয়ার পর ফেলে দেন তা ফেলে দিবেন না, এই নীম পাতা রোদে শুকিয়ে     হাত গুরো করে টবের মাটিতে ছিটিয়ে দিন, তা নীম খোলের কাজ করবে|
2. আরও একটি উপায় হল নিম তেল ৫ ml + কাপড় কাচার পাউডার ১ গ্রাম = ১ লিটার জলে গুলে স্প্রে করবেন ৭/৮ দিন ছাড়া যতদিন না পুরোপুরি রোগ নির্মূল হয় 

Aphids -- এগুলিও খুব ছোট আকারের হয় । কালো সাদা হলদে সবুজ নানা রঙের হয়ে থাকে। এরা সাধারণত কুঁড়ির ওপর থাকে এবং কুঁড়ির অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে যার ফলে কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে উঠতে বাধা পায় ।প্রতিকার -- এর ক্ষেত্রে  Rolex, Oberon, Xmite এর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন । 
Lanchargold ১ লিটার জলে দেড় গ্রাম, Bayer Confidor ৩ লিটার জলে ১ ml  ,

Dieback -- এটিও একটি মারণ রোগ , ছত্রাক ( Fungus ) লাগার ফলে গাছের ডাল উপরের দিক থেকে ধীরে ধীরে পচে যেতে থাকে । ( এই রোগটি গোলাপ গাছেও হয় )
প্রতিকার -- এর সব থেকে ভালো উপায় হল যেখান থেকে এই রোগ শুরু হয়েছে তার একটু নিচে থেকে সেই ডালটি ছেঁটে ফেলে দেয়া । এবং সেই কেটে ফেলা ডালের অংশে যেকোনো ছত্রাকনাশক পাউডার ( যেমন Saaf , Bavistin ইত্যাদি ) লাগিয়ে দেবেন ।

এছাড়া  whitefly, Jassids, Aphids,Thrips প্রভৃতি ক্ষেত্রে Bayer Confidor, Adama Kohinor, Imidacloprid, Confidor Super  ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন

বর্ষা কালে বা শীতের নিম্নচাপ হলে অনেক সময় ফাঙ্গাস দেখা যায় তখন ফাঙ্গিসাইড মাটিতে ছড়িয়ে দেবেন যা UPL Saaf ,UPL Mancer নামে বা অন্যানো নামে বাজারে পাওয়া যায়। বা সম্পূর্ণ গাছকে ছত্রাকনাশক দিয়ে স্নান করিয়ে দেবেন

তাছাড়া প্রতিদিন গাছে জল দেয়ার সময় যদি সম্পূর্ণ গাছটিকে পরিষ্কার জলের স্প্রে করে ধুইয়ে দেওয়া যায় তাহলে অধিকাংশ রোগ হতে পারেনা ।

ছ) কয়েকটি কথা :-
1- নীল জবা বা ডিপ পিঙ্ক জবা গাছ বেশি রোদ সহ্য করতে পারে না। অল্প রোদ আসে এমন জায়গায় গাছ রাখবেন ।
2- ঋতু পরিবর্তনের সময় জবা গাছের পাতা ঝরে পড়া স্বাভাবিক।
3- জবা গাছ অল্প রোদে ঝোপালো হলেও ফুল কম দেয়।
4- জবা গাছের মাটিতে বিকেলে জল দিলে গাছে Fungus এটাক বেশি হয়।
5- জবা গাছ কাটিং থেকে খুব সহজেই করা যায় । 
6- শীতের সময় জবার পরাগমিলন ঘটালে বীজ পাওয়া যায় । 
7- জবা গাছের প্রুনিং এর সব থেকে ভালো সময় মার্চ এর প্রথম সপ্তাহ। যদিও জবার প্রুনিং সারা বছর করা যায় শুধু বর্ষা কাল ব্যতীত । যখন দেখবেন কোনো গাছ ফুল ফোটানো শেষ করে দিয়েছে তার মানে ও রেস্ট নিতে চাইছে ওই সময় মাটিতে কিছু খাবার দিয়ে গাছ প্রুনিং করতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments