শামুক ঝিনুকের দ্বারা তৈরি জৈব সার

বর্তমানে কৃষিতে বিশেষ করে ছাদ কৃষিতে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় জৈব সারের নাম হাড়ের গুঁড়ো,শিং কুচি এগুলি যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি উপকারী| আমরা ছাদ বাগানে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। গাছের প্রয়োজনীয় NPK গাছ নিজেরাই জোগাড় করে নেয় এবং আমরা সকলেই কম বেশি জানি নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশ এর উৎস |  আজকে আমরা জানবো হাড়ের গুঁড়ো,শিং কুচি ছাড়াও এমন অনেক প্রাকৃতিক উৎস আছে যেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস পাওয়া যায় |

শামুক এবং ঝিনুকের গুড়ায় গাছের জন্য অবাক করার মত সব উপাদান রয়েছে। 

শামুক এবং ঝিনুকের গুড়া পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপরে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে হবে | এগুলি Dust বলে গাছের পুষ্টি ধীরে ধীরে মাটিতে কাজ করে এবং দ্রুত ফসলের পরিবর্তে গাছগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের গাছকে দীর্ঘদিন সরবরাহ করে। নাইট্রোজেন,ফসফরাস এবং পটাশ এর অনুপাত (10:22:1) |




🐌 🐚 শামুক ঝিনুকের গুড়ার উপাদান :

নাইট্রোজেন,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস, এলকালয়েড,সিলিলিয়াম,বোরন,জিংক,মিনারেল,ভিটামিন এবং অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়ান রয়েছে।

1.ক্যালসিয়াম সামগ্রী মাটির পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে।

2.নাইট্রেট গ্রহণের উন্নতি করে।

3.এনজাইম গঠনে সহায়তা করে এবং গাছের কোষের প্রাচীরকে শক্তিশালী করে। যে কোন ফসলি জমিতে শামুক ঝিনুকের গুড়ার উপস্থিতি যেন তুমুল শৈত্য প্রবাহে রোদের ছায়া।


     🐌 🐚 শামুক ঝিনুকের গুড়া ব্যবহারঃ

1.মাটি তৈরির সময় ১০" টবে সর্বোচ্চ হাফ মুঠ শামুক ঝিনুকের গুড়া  মেশাতে হবে।

এখন মাটি তৈরি হয়ে গেলে কিভাবে ব্যবহার করবেন :

2. ১০" টবে প্রথমে গাছের গোড়া থেকে ১.৫ ইন্ঞ্চি মাটি সরিয়ে হাফ মুঠ পরিমান শামুক ঝিনুকের গুড়া  দিতে হবে ।তারপর আবার মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে পানি দিয়ে দিবেন।

এরপর থেকে গাছ তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করবে।


Post a Comment

0 Comments