বাড়ি আলো করে রাখতে এই লতানো গাছটি অবশ্যই লাগান | সোনাঝুরি লতা

আমরা চলার পথে শীতের শেষে কোন কোন বাড়ির ঝাঁদে বা দেয়াল বেয়ে ওঠা উজ্জ্বল কমলা রঙের ফুলের বাহারে আমাদের অনেকেরই চোখ টেনে নেয় যে লতানো গাছটি  তার নাম সোনাঝুরি লতা। ফুলগুলি উজ্বল লালচে কমলা রঙ যা অনেক দূর থেকেই আমাদের নজর কাড়ে। গাছীটির গোড়া কাষ্ঠল এবং শক্ত কাণ্ড হওয়া সত্বেও এর সৌন্দর্যের এর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো অনেক  বাগানি ও গাছপ্রেমিকেরা বাড়ির আঙিনা ও ভবনের সৌন্দর্য বাড়াতে এই গাছ লাগিয়ে থাকে। গাছিটি লম্বাই ৭৫ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। 

ফুলের নাম- Orange Trumpet Creeper (অরেঞ্জ ট্রাম্পেট ক্রিপার)

বৈজ্ঞানিক নাম-Pyrostegia Venusta (পাইরোস্টেজিয়া ভেনুসতা)

গাছটির আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকায়, বিশেষত ব্রাজিলে আমাজন অববাহিকায়। পরবর্তী সময়ে এই লতানো গাছ ল্যাতিন আমেরিকার সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।  




গাছটি নানা স্থানে নানা নামে পরিচিত কোথাও বলা হয় সোনাঝুরি লতা আবার কোথাও বলা হয় সোনা ঝুড়ি লতা এছাড়াও অনেকে ফ্লেম ভাইন বা Golden shower trumpet  প্রভৃতি নামে চেনে । গাছটি ছায়াযুক্ত স্থানে এবং সূর্যালোকে দুই স্থানেই খুব ভাল বেড়ে ওঠে এছাড়াও অধিক উষ্ণ ও অতিরিক্ত শীতল উভয় পরিবেশে এবং আর্দ্র বা শুষ্ক উভয় আবহাওয়ায় এরা বেঁচে থাকতে সক্ষম। গাছটিকে গোঁড়া থেকে কেটে দিলে বা বাধাগ্রস্ত হলে গোড়া থেকে নতুন কুশি গজিয়ে ওঠে। সোনাঝুরি গাছের বেশী যত্ন বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না, সেই কারণে বাগানের শোভা বর্ধনকারী গাছ হিসেবে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় এই লতানো গাছের ফুল তিন ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে যা কিনা থোকায় থোকায় ফোঁটে এবং প্রতিটি থোকায়  ১৫ থেকে ২০টি ফুল থাকে।


গাছটি নমনীয়, পত্রমোচী, ঝুলন্ত শাখাবহুল লম্বা লতা। শীত শেষ ও বসন্তে শুরুতে গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। নিষ্পত্র লতার ঝাড় তখন সোনালী ফুলে ভরে যায়। ভারতবর্ষের গাছটি ভীষনই জনপ্রিয় এবং সব স্থানেই দেখতে পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে। সারা বিশ্বেই এ গাছের কদর রয়েছে এবং অনেক দেশে এর বাণিজ্যিক চাষ হয়। নার্সারিগুলোতে কমলা সুন্দরী নামে এর চারা বিক্রি হয়।




Post a Comment

0 Comments